এম এম লিংকন: [৩] প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল আরো বলেন, ভোটার, প্রার্থী, দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষক এবং গণমাধ্যমের মতামত ও ব্যাখার পর বোঝা যাবে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু।  তবে, সরকারের সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সহজ হয়েছে। আমরা দেখেছি দলীয় সরকারের অধীনে, সরকারের যে পলিটিকাল উইল অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করার, সেটা ছিল। সেই সাথে সরকারের তরফ থেকে আন্তরিকতা ছিল। আবার দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করা কিছুটা চ্যালেঞ্জ থাকে, এটাও সত্য। 

[৪] রোববার সারাদেশে ২৯৯টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে  এ কথা বলেন তিনি। এর আগে সকাল ৮ টা থেকে একটানা বিকেল ৪ টা পর্যন্ত দেশব্যাপী স্বচ্ছ ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ চলে। এবারের নির্বাচনে ২৮টি দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে এক হাজার ৯৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। 

[৫] প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বলবো না আমরা খুব ভালো করেছি। নির্বাচন কমিশনসহ আমাদের সবার চেষ্টা ছিল যেন আমরা একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট করতে পারি। আমরা মনে করি সেই ভোট আমরা করতে পেরেছি আপনারাসহ দেশবাসী সবার সহযোগিতায়। সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক বিষয় হচ্ছে, নির্বাচনী সহিংসতায় কেউ মৃত্যুবরণ করেনি। ছোট ছোট কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া আমাদের কাছে আর কোন ঘটনা আমাদের কাছে আসেনি। 

[৬] তিনি বলেন, নিশ্চয়তা বিধান করার কথা ছিল, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে যে সহযোগিতা করার কথা ছিল, সে সহযোগিতা পেয়েছি বলেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সহজ হয়েছে, আমরা করতে পেরেছি।

[৭] সিইসি বলেন, ভোটকে ঘিরে যে বড় ধরনের আশঙ্কা হয়েছিল। কারণ একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল ভোট বর্জন করে ভোট প্রতিহত করার জন্য পরোক্ষভাবে ঘোষণা  দিয়েছিল। তাতে সবাই কিছুটা শঙ্কিত হয়েছিল কিন্তু কিছু লক্ষণ ছাড়া তেমন বড় কোন প্রভাব পড়েনি আজকের নির্বাচনে।

[৮] তিনি জানান, নির্বাচনী কর্মকর্তাকে হুমকি দেওয়ায় ভোটগ্রহণের একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে চট্টগ্রাম-১ আসনের নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করে কমিশন, বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে প্রথম এমন ঘটনা ঘটলো।

[৯] কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ২৯৯টি আসনে চলমান নির্বাচনে আপনারাও তথ্য সংগ্রহ করছিলেন; আমরাও সারাদিন খোঁজখবর রেখেছি। সারাদিন আমাদের কমিশনার এবং আমি নিজেও বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে এসেছি। আমরা তখন অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছি, সময়টা ছিল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে। ভোট শান্তিপূর্ণভাবেই হচ্ছিল দেখে এসেছি। ফিরে এসে টিভিতে যে খবর আমরা দেখেছি তাতেও মনে হয়েছে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। বড় ধরণের সহিংসতার যে ভয় ছিল তা হয়নি এবং গুরুতর কোন ঘটনা ঘটেনি। কিছু কিছু ঘটনা কিছু অনিয়ম আমাদের এখানে রেকর্ডেড হয়েছে এবং আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাও নিয়েছি। কিছু কিছু কেন্দ্রের ভোট আমরা স্থগিত করেছি, কিছু কেন্দ্রের ভোট বাতিল করেছি, এমনকি নির্বাচনের শেষ দিকে এসে একজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে হয়েছে। 

[১০] সিইসি বলেন, একটি দুঃখজনক ঘটনা আপনাদের জানাতে চাই। নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের দুই জন প্রিজাইডিং অফিসার মৃত্যুবরণ করেছেন। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তারা মৃত্যুবরণ করেন। আমরা তাদের আত্মার মাগফেরাত করি, তাদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করছি। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব